যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন) এর তাৎপর্য

ক্রিসমাস বা বড়দিন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।প্রতি বছর রোমান ক্যাথলিক ও প্রটেস্টান্ট চার্চের অনুসারীরা যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসব উদযাপন করে।২০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এ উৎসব পালন শুরু হয়।৩৫৪ খ্রিষ্টাব্দে দিনটিকে যিশুর জন্ম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।এ ঘোষণা ৪৪০ খ্রিষ্টাব্দে পোপ স্বীকার করেন।মূলত পৌত্তলিক রোমানদের উৎসবের বিপরীতে ক্রিসমাস বা বড়দিন পালন শুরু হয়।ক্রিসমাস যদিও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত, কিন্তু বর্তমানে এটি একটি ধর্ম নিরপক্ষ উৎসবে পরিণত হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে খ্রিষ্টানগণ আনন্দ -উৎসব করে এবং একে অপরকে শুভেচ্ছা কার্ড ও উপহার পাঠায়।এসব উপহার যিনি বহন করে নিয়ে আসেন তাঁকে নানা নামে ডাকা হয়,যেমন Father Christmas,Santa Claus,Saint Nicholas ইত্যাদি।

ক্রিসমাস কার্ডের প্রচলন শুরু হয় উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। ক্রিসমাস বৃক্ষ সাধারণত মোচাকৃতির পাইন বা ফার বৃক্ষ ছোট ছোট বৈদ্যুতিক বাল্ব এবং উপহার সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়। কখনও কখনও গাছের ওপরে দেওয়া হয় একজন দেবদূত ও একটি তারার প্রতিকৃতি। ক্যাথলিকের ক্রিসমাস পালনের অংশ হিসেবে তারা যিশুর শিশুকালের দৃশ্য দেখায়,যেমন গোয়ালঘরে পশুকে খড় খাওয়ানো গামলায় শিশু যিশু এবং পাশে তার মা মেরী ও যোশেফ দন্ডায়মান। বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন রীতিতে এ উৎসব পালিত হয়। বাংলাদেশে ক্রিসমাস শুরু হয় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন চার্চে ক্রিসমাস ক্যারল গানের মধ্যে দিয়ে।বাড়িতে বাড়িতেও ক্রিসমাস ক্যারল গাওয়া হয়ে এবং এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগৃহীত হয় তা দিয়ে ভোজ ও আনন্দ-উৎসব করা হয়।ক্রিসমাসের উৎসব জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে।ক্রিসমাসের আগের সন্ধ্যায় বা তারও আগে থেকে উপহার বিনিময় চলে। ক্রিসমাসের আগের দিন মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত গির্জায় গির্জায় বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকে।আমাদের দেশে দিনটিতে সরকারি সাধারণ ছুটি পালন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *