বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে নামাজ

নামাজ এমন এক নেয়ামত যা সরাসরি প্রিয় নবী মুহাম্মদের (সা.) মাধ্যমে আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের জন্য ফরজ করেছেন। যা আল্তালাহ্য়া‌লার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। বান্দার ইবাদতি জিন্দিগির একটি শ্রেষ্ঠ অনুষঙ্গ হলো নামাজ। নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। নামাজ আল্লাহ্‌র নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও সর্বোত্তম আমল। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব হবে। যদি তার নামাজ ঠিক হয় তবে তার সব আমল-ই ঠিক হবে। আর তার নামাজ বিনষ্ট হলে, তার সব আমল বিনষ্ট হবে। অভ্যাস করুন দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার কারণ এর লাভ শুধু আখেরাতে নয় দুনিয়ার জীবনেও রয়েছে এর অসংখ্য উপকারিতা ও বৈজ্ঞানিক যথাযথ ব্যাখ্যা। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের একটা নীতি হলো, মানুষের অন্তর যখন শান্তি লাভ হয় তখন দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর শক্তিও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের শক্তি শারীরিক সুস্থতার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। যার ফলে মানুষের শুধু প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তার বিক্ষিপ্ততা এবং চিন্তার ভিড় থেকে নিষ্কৃতি লাভ হয় না বরং শারীরিক দিক দিয়েও মানুষের শক্তিসামর্থ্য বৃদ্ধি পায়।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে নামাজের গুরুত্ব

এআর কমর নামে একজন বিশেষজ্ঞ তার ইউরোপের ডায়েরিতে লিখেছেন, আমি নামাজ আদায় করছিলাম। একজন ইংরেজ গভীর মনোযোগ দিয়ে আমার নামাজ আদায় প্রত্যক্ষ করছিলেন। নামাজ শেষ হওয়ার পর তিনি বললেন, আপনি ব্যায়ামের এ পদ্ধতি আমার লেখা বই থেকে শিখেছেন? কারণ আমিও ব্যায়ামের এরকম পদ্ধতিই আমার বইতে উলেস্নখ করেছি। যে ব্যক্তি এরকম পদ্ধতিতে ব্যায়াম করবে সে কখনো জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত হবে না। সে ইংরেজ তারপর ব্যাখ্যা করে বললেন, দাঁড়ানো অবস্থা থেকে সরাসরি সিজদার ব্যায়ামে চলে গেলে হৃৎপিন্ডের ওপর চাপ পড়ে। এ কারণেই আমি আমার বইতে এরকম ব্যায়াম করতে নিষেধ করেছি। আমি লিখছি, প্রথমে দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করতে হবে এবং হাত বাঁধতে হবে। এরপর খানিকটা ঝুঁকে হাত এবং কোমরের ব্যায়াম করতে হবে। তারপর মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে ব্যায়াম করতে হবে। শুধু বিশেষজ্ঞদের দ্বারাই এরকম ব্যায়াম করানো সম্ভব। ইংরেজ লোকটির কথা শেষ হওয়ার পর আমি তাকে বললাম, আমি একজন মুসলিম। ইসলাম এভাবেই নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে। আপনার লেখা বই আমি কখনো চোখে দেখিনি, পাঠও করিনি। আমরা দিনে পাঁচবার এভাবে নামাজ আদায় করি। আমার কথা শুনে তার বিস্ময়ের অবধি রইল না। তিনি ইসলাম সম্পর্কে আমার কাছে আরও নানা তথ্য জানতে চাইলেন। পাকিস্তানের একজন হৃদরোগী তার হৃদরোগের নানা রকম চিকিৎসা নিতে নিতে একপর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ায় যান। সেখানে হার্ট স্পেশালিস্ট তাকে পরীক্ষা করার পর কিছু ওষুধ দেন এবং ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। ব্যায়ামের ব্যাপারে ডাক্তার বলেন, আপনাকে আমার ফিজিও ওয়ার্ডে আমার তত্ত্বাবধানে আট দিন ব্যায়াম করতে হবে। রোগী ব্যায়াম অনুশীলন করে দেখলেন যে, সে ব্যায়াম সম্পূর্ণ নামাজের মতো। রোগী সঠিক নিয়মেই ব্যায়াম অনুশীলন করছিলেন। ডাক্তার এ অবস্থা দেখে অবাক হয়ে বললেন, আপনি কীভাবে এত কঠিন ব্যায়াম এত তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করলেন? আমার অন্য রোগীদের তো এ ব্যায়াম অনুশীলন কমপক্ষে আট দিন সময় লেগে যায়। রোগী জানালেন, আমি একজন মুসলিম। আপনার শেখানো ব্যায়াম তো সম্পূর্ণই নামাজের মতো। এ কারণে এ ব্যায়াম অনুশীলনে আমার কোনো সমস্যা হয়নি।

সোর্সঃ যায়যায়দিন

Post Views: 1,197