জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস
প্রতি বছর ১৭ ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ, ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়েরা খাতুন। কৈশোর থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণ বিকশিত হতে দেখা যায়। বি.এ. পড়ার সময় ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে ১৯৬৬-র ছয় দফা,ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন সর্বোপরি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে বাঙালির হাজার বছর লালিত স্বাধীনতার স্বপ্নকে মূর্ত করে প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র। এজন্য তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক। ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বাঙালির আনন্দের দিন। যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দিনটি পালিত হয়। শিশুদের বঙ্গবন্ধুর মহান জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সারা বিশ্বে বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয় ২০শে নভেম্বর এবং ‘আন্তর্জাতিক শিশু দিবস’ পালিত হয় পহেলা জুন। ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয় ১৭ ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। তাই তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। এদিনে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার নতুন শপথ নিতে হবে সবার। শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। তার এই গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠবে এটাই জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার সহ সরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল প্রচার করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করে।বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা সহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা আয়োজিত হয়।
“জয় বাংলা”